শুক্রবার , ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকতার তিনটি বড় শর্ত: কাদের গনি চৌধুরী

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সাংবাদিকতার তিনটি বড় শর্ত হচ্ছে সততা, নির্ভুলতা, পক্ষপাতহীনতা। সততা মানে সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা চর্চা করতে হবে। নির্ভুলতা মানে যে তথ্য দিচ্ছেন সেটা সঠিক হতে হবে। ন্যায্যতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পক্ষপাতমুক্ত হতে হবে।বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।সংগঠনের চেয়ারম্যান মান্নুনুর রশিদ সাইনুর সভাপতিত্বে ও কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক বাচ্চু জামাল, পশুজীবী নতো রফিকুল ইসলাম, আরাফাতুর রহমান আপেল, হাসান সরদার জুয়েল, কাজী মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের অন্যতম ইন্দ্রিয়। যার মাধ্যমে একটা রাষ্ট্রের সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। সুশাসন নিশ্চিত করতে সংবাদ মাধ্যম পাহারাদারের ভূমিকা পালন করে। এ জন্য সংবাদ মাধ্যমকে সমাজের দর্পণ বলা হয়।

সে দর্পণে প্রতিফলিত হয় সমাজের চিত্র।তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কাজ হলো ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রতিবেদন তৈরি করা এবং তা গণমাধ্যমে পরিবেশন করা। এ কারণে সাংবাদিকদের বলা হয় সমাজের ‘ওয়াচডগ’। তাই সাংবাদিকতা হতে হবে পুরোটাই সত্য। আংশিক সত্য ও মিথ্যার সংমিশ্রণে সাংবাদিকতা হয় না। সাদাকে সাদা-কালোকে কালো বলাই সাংবাদিকতা।মনে রাখবেন যা বস্তুনিষ্ঠ তা সত্য, তাই সুন্দর। যা সুন্দর তা শান্তির, তা কল্যাণের। সৎ সাংবাদিকতা সত্যের আরাধনা করে।সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, সকল ভয়-ভীতি, লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে সত্য তুলে ধরাই হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকের কাজ। যারা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সাহস রাখেন না তাদের জন্য অন্তত সাংবাদিকতা নয়।মনে রাখবেন, সাংবাদিকতায় প্রথম বাধ্যবাধকতা হচ্ছে সত্যের প্রতি দায়বদ্ধতা।

কেবল দেশ ও জনগণের প্রতি। সাংবাদিকতার মূল মন্ত্র হচ্ছে কোনো ক্ষেত্রেই মিথ্যার সাথে আপোস না। আপোস শব্দটি সাংবাদিকতার ডিকশনারিতে নেই। সত্যের তরে দায়িত্বের সাথে লড়াই করা সাংবাদিকতা।কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য দরকার সাংবাদিকদের লড়াকু মন, ‘গণমাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিকতা’ এবং ‘গণতান্ত্রিক শাসন’। বাংলাদেশের এ তিনটির বড্ড অভাব।এখনকার সাংবাদিকদের মধ্যে লড়াকু মন-মানসিকতা মোটেও নেই। বরং দলদাস সাংবাদিকতা বড় স্থান দখল করে নিয়েছে। আগের সাংবাদিকরা সত্যের পেছনে ঘুরতো আর এখনকার সাংবাদিকরা অর্থের পেছনে ঘুরে। আগে সাংবাদিকরা সরকারকে তাদের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরতেন এখন তা না করে তোল্লাই দেন।সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে থেকে গোপনে চুক্তি করে এলে সে নিয়ে প্রশ্ন করেন না। উল্টো বলেন, আপনার তো নোবেল পাওয়া উচিত।কাদের গনি চৌধুরী বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের সাহসী হতে হয়। লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থাকতে হয়।

বিবেককে জাগ্রত রাখতে হয়। আমাদের পূর্বসূরিরা যেটা পেরেছেন আমরা আজ পারছি না। আমরা নিজেই যেন আত্মসমর্পণ করে বসে আছি।আপনারা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার কথা শুনেছেন। তিনি একবার ইত্তেফাকের প্রথম পৃষ্ঠার কিছু জায়গা খালি রেখে লিখেছিলেন, ‘এ বিষয়ে আর কিছু ছাপানো গেল না সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে’। এ ধরনের প্রতিবাদ আজ নেই। কারণ এখন মিডিয়া হাউজগুলোর মুনাফামুখী সাংবাদিকতার নীতিগত অবস্থান অনেকের কাছে এখন আদর্শের বিষয় নয়।

 

তুরাগের ৫৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

তুরাগের ৫৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

 ঢাকা মহানগর উত্তর ৫৩ নং ওয়ার্ড তুরাগ থানার ধরাংগারটা এলাকায় বিএনপি'র উঠান বৈঠক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। তুরাগ থানা বিএনপি'র আহবায়ক...

অ-অভিবাসী ৮০ হাজার ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন

‘জাতীয় লজিস্টিকস নীতি-২০২৫’ অনুমোদন

‘জাতীয় লজিস্টিকস নীতি-২০২৫’ অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। নীতিমালাটি দেশের পরিবহণ, সরবরাহ ও বাণিজ্য ব্যবস্থাকে আধুনিক, দক্ষ ও টেকসই করার লক্ষ্যে...

Ad For Sangbad mohona