গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের নুনিয়াগাড়ির বহুল আলোচিত মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে প্রসূতি ও নবজাতকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। রবিবার (১৯ অক্টোবর) সরেজমিনে ওই ক্লিনিকে গিয়ে কাজ শুরু করেন কমিটির সদস্যরা। গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. রফিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মা ক্লিনিকে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্তদল কাজ শুরু করেছে।
আগামীকাল সোমবারও তাঁদের সেখানে কাজ করার কথা রয়েছে।স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ইতোমধ্যে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগেও অভিযোগের ভিত্তিতে পরিদর্শন করে ওই ক্লিনিক দেড় মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
তখন ওটি, মেশিন, জনবল ও দায়িত্বরত চিকিৎসককে নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এ ছাড়া কিছু অভিযোগ ছিল। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের শর্ত পূরণ করে ক্লিনিকটি পুনরায় খোলে কর্তৃপক্ষ।কেন এবং কার অবহেলায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবদেন হাতে পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে ইতোমধ্যে ক্লিনিকটি পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং য়থারীতি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিক এর ভবনে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান ক্লিনিকের লোকজন ও ভবন মালিক। ক্লিনিকটির মালিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফাতেমা বেগম। তার মালিকানাধীন ভবনে এটি পরিচালিত হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, মা ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, অথচ প্রশাসনের নজরদারি নেই। এবার কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এমন মৃত্যু আরো ঘটবে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে ভুল চিকিৎসায় পারভীন আক্তার ওরফে পারুল বেগম (২৫) নামের এক প্রসূতি ও তাঁর নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন গাইবান্ধার সিভিল সার্জন। কমিটির সদস্যরা হলেন সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. রিশাত রুম্মান ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. জাহিদুল ইসলাম এবং গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. রেদোয়ানুল ইসলাম।
শেয়ার করুন :










