ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের জন্য নির্ধারিত লিফট থেকে এক যুবককে নামিয়ে দেওয়ায় এক চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এ সময় হামলার প্রতিবাদে চিকিৎসকেরা আগামী শনিবার ও রোববার বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের নতুন বহুতল ভবনে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য নির্ধারিত একটি লিফট আছে। গতকাল সন্ধ্যায় ওই লিফটে ১১ তলা থেকে নিচে নামছিলেন হাসপাতালের রেজিস্ট্রার এস এস তাইফুর হুসাইন। তখন শামীম হোসেন (২৫) নামের এক যুবক লিফটে উঠতে চাইলে তিনি তাঁকে বাধা দেন। লিফটে পর্যাপ্ত জায়গা থাকার যুক্তি দেখিয়ে ওই যুবক লিফটে ওঠেন। লিফটটি সাততলায় আসার পর অনেক চিকিৎসক থাকায় শামীমকে সেখানে নামতে বললে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে নেমে যান।

ওই ঘটনার পর রাত আটটার দিকে চিকিৎসক তাইফুর হুসাইন নিচে গেলে শামীম হোসেনের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে তাঁকে চড়-থাপ্পড়, কিলঘুষিসহ এলোপাতাড়ি মারধর করেন কয়েকজন। খবর পেয়ে সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় আজ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে ড্যাবের ফরিদপুরের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ডায়াবেটিকস সমিতির সদস্যসচিব শেখ আবদুস সামাদ, ডায়াবেটিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। হামলার নিন্দা জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে শামীম ও হৃদয় নামের দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় তাঁরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। এদিকে হামলার ঘটনায় গতকাল রাতে কোতোয়ালি থানায় দুজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন হাসপাতালের পরিচালক মো. মোসলেম উদ্দিন। আসামিরা হলেন হাসপাতালের সামনে থাকা প্রীতি ফার্মেসির মালিক শামীম হোসেন (২৫) ও অর্ঘ্য ফার্মেসির কর্মচারী হৃদয় হোসেন (২৩)। জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শেয়ার করুন :










