ভারতের হিমালয় অঞ্চলের লাদাখে বুধবার রাজ্যের মর্যাদা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য চাকরির কোটা দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত ও ডজনখানেক লোক আহত হয়েছে বলে রয়টার্সকে দুটি সূত্র জানিয়েছে।২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার লাদাখকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে পৃথক করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বানায় এবং এর স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে সরাসরি নয়াদিল্লির অধীনে আনে
অ্যাক্টিভিস্ট সোনম ওয়াংচুকের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা লাদাখকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ারও দাবি তুলেছেন, যাতে নির্বাচিত স্থানীয় সংস্থা গঠন করে এর উপজাতীয় অঞ্চলগুলো রক্ষা করা যায়।সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, লেহ শহরে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কার্যালয়সহ কয়েকটি ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
এএনআইয়ের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কার্যালয় প্রাঙ্গণের পেছন থেকে কালো ধোঁয়া উড়ছে এবং শত শত মানুষ স্লোগান দিচ্ছে।ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো দেখিয়েছে, একটি পরিত্যক্ত পুলিশ যানবাহনের সামনের অংশে আগুন জ্বলছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কিছু তরুণ বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা হয়।এক পুলিশ সূত্র জানায়, সংঘর্ষে ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০ জন পুলিশ সদস্য।ওয়াংচুক বলেন, ‘যুবকদের হতাশাই তাদের রাস্তায় নামিয়েছে… আমি যুবকদের কাছে আবেদন করছি, সহিংসতার পথে হাঁটবেন না।
’তিনি আরো জানান, সহিংসতার পর তিনি তার ১৫ দিনের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা লাদাখের সমস্যার সমাধান নয়… যদি আমাদের যুবকদের দুঃখ-কষ্ট থাকে যে আমরা অনশন করছি, তবে আজ থেকেই আমরা অনশন ভাঙছি।
’লাদাখের লেফটেন্যান্ট-গভর্নরের দফতর ও পুলিশ রয়টার্সের অনুরোধে কোনো মন্তব্য করেনি।জেলা প্রশাসক রোমিল সিং ডংক এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শান্তি বজায় রাখতে বিক্ষোভ, জনসমাবেশ ও উসকানিমূলক বক্তব্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।চীনের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত ভাগাভাগি করা লাদাখ ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০২৩ সাল থেকে লাদাখের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে এবং জানিয়েছে, তাদের দাবিগুলো বিবেচনা করছে। পরবর্তী দফার আলোচনা আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
শেয়ার করুন :










