গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি থানাধীন ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দল ও কথিত সাংবাদিক পরিচয়ধারী সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দলথেকে বহিষ্কার হয়েছেন কারা নির্যাতিত ওয়ার্ড যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক রাজিব মিয়া।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি থানাধীন ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক রাজিব মিয়া বিগত ২০০৯ ইং সালে যুবদলের ক্রীড়া সম্পাদক পদ দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। বিগত ফ্যাসিস্ট (আওয়ামী লীগ) সরকারের ১৭ বছর শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশে দলীয় কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করায় রাজিব মিয়া একাধিক বার হামলা, মামলা, জেল, জুলুম ও নির্যাতন শিকার হয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে ঢাকার আশুলিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় হয়রানী মূলক মিথ্যা ৫টি রাজনৈতিক মামলার আসামী হয়েছেন। এ সকল মামলায় তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুর জেলা কারাগারে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বর্পূণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এ আন্দোলনে রাজিব মিয়া অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন। ৫ই আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পালিয়ে যায় ফ্যাসিস্ট (আওয়ামী লীগ) সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লাস আর আনন্দে মেতে উঠে গোটা দেশ। এ সময় কিছু দুষ্কৃতিকারী বিভিন্ন অপকমের্রর মাধ্যমে নিজেদের আখের গুছানোর লক্ষ্য নিয়ে মাঠ চষে বেড়ান। দুষ্কৃতিকারীদের অনৈতিক কর্মকান্ডে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে থাকে।
তখন রাজীব তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। দুষ্কৃতিকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে রাজীবের বিরুদ্ধে গভীর ষড়ষন্ত্রে লিপ্ত হন। ষড়যন্ত্রকারীরা সম্প্রতি রাজিব মিয়ার বাসায় হামলা চালিয়ে নগদ ১০ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এবং তার অফিসে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মালামাল ভাংচুর করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রাজীব কোনাবাড়ি মেট্রো থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অন্যদিকে ষড়যন্ত্রকারীরা অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দল এর ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে তাদের সহযোগী সিরাজগঞ্জ জেলা বেলকুচি থানার আদাযাকি গ্রামের (বর্তমানে দেওলিয়াবাড়ি শরিফের বাসার ভারাটিয়া) মো. শিপনের ছেলে মো. রাব্বিকে বাদী করে রাজীবের বিরুদ্ধে কোনাবাড়ি মেট্রো থানায় একটি মিথ্যা চুরির মামলায় (মামলা নং ৮(৫)২৫) জেল হাজতে পাঠায়।
পরবর্তী সময়ে ষড়যন্ত্রকারীরা একদল পরিচয়ধারি সাংবাদিক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ আই এপস এর মাধ্যমে আমার ছবি ও একটি ভিডিও এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপপ্রচার চালায়। তাদের অপপ্রচারে দল তাকে বহিস্কার করেন।
এ বিষয়ে রাজিব মিয়া বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র মুলক অপপ্রচার করতেছে। আমি শতভাগ দুর্নীতি মুক্ত। আমার নিজের সম্পদ বলতে কিছু নেই। যা কিছু আছে তা আমার পৈত্রিক ওয়ারিশ সুত্রে পাওয়া বাবার ও দাদার সম্পত্তি। সাংবাদিকগণ জাতির বিবেক। সমাজের আয়না। আমি সব সময় তাদের শ্রদ্ধা করি।
অপসাংবাদিকদের ঘৃনা করি। একদল পরিচয়ধারি সাংবাদিক সিন্ডিকেটের নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করায় এরা ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এ আই এপস এর মাধ্যমে আমার ছবি ও একটি ভিডিও এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপপ্রচার চালায়। অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সকল সংবাদের আমি তব্রি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চেলেঞ্জ করছি আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সকল সংবাদ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার এলাকার সর্বস্তরের জনগণ ও আমার দলীয় কর্মী সমর্থক আমার পাশে আছে। তাদের নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিব। ষড়যন্ত্র করে কেউ কোনদিন সফল হয়নি
