সংশোধিত তালিকা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছে এশিয়ার তিনটি দেশের ওপর। এগুলো হলো, মিয়ানমার, লাওস ও সিরিয়া।
ঘোষণা অনুযায়ী, সিরিয়ার ওপর ৪১, মিয়ানমার ও লাওসের ওপর ৪০ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক আরোপ হবে। সিএনএন বলছে, এই তিন দেশের ওপর এমন হারে শুল্ক আরোপের বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমিত পরিসরে বাণিজ্য থাকার পরও ট্রাম্প কেন এতো কঠোর হলেন সেটিও উল্লেখ করেনি ওয়াশিংটন।
পশ্চিম এশিয়ার দেশ সিরিয়ার ওপর কঠোর ট্যারিফের ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা শুরু করেছে। যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়ার অর্থনীতি অনেকটাই ধ্বংসের মুখে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যও কার্যত অদৃশ্য।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার ঘনিষ্টদের ওপর থেকে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এখনো দেশটি পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত নয়। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে।
হোয়াইট হাউস তাদের ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার সংশোধিত পারস্পরিক শুল্কের একটি তালিকা প্রকাশ করে। তালিকা অনুযায়ী এশিয়ার বাকি দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান ১৫, বাংলাদেশ ২০, ভারত ২৫ ও পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে।
শেয়ার করুন :