শরীয়তপুর: ২০১৮ সালের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুর শরীয়তপুরে আগমনে জনতার ঢল নামে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকা থেকে গাড়ি নিয়ে নিজ জেলা শরীয়তপুরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। পদ্মা সেতু পার হওয়ার সঙ্গে দলীয় হাজার হাজার নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকায় তিনি পথসভায় বক্তব্য রাখেন। যেখানেই যান সেখানেই জনতার ঢল নামে। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হাজির হন।


এসব পথসভা নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু বলেন, ২০১৮ সালে তারেক রহমানের নির্দেশে মানুষের সেবা করতে গিয়েছিলাম, তখন কিছু ষড়যন্ত্রকারী আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। দীর্ঘ আট বছর কারাগারে ছিলাম। তখন আমার ছেলে হাসপাতালে অসুস্থ ছিল, তবুও তারেক রহমান বলেছিলেন— মানুষকে ভালোবাসো, সেবায় নিয়োজিত থাকো। আমি তাই করেছি। কিন্তু আমাকে হত্যা করতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, যেন আমি শরীয়তপুর-৩ আসনের মানুষকে ভালোবাসতে না পারি। মানুষকে ভালোবাসতে গেলে যদি হত্যা করতে হয়, তবে সেটা কেমন রাজনীতি? বিএনপি কখনো এ হিংসাত্মক রাজনীতি করে না, বরং ঘৃণা করে।

হিংসার রাজনীতি নয়, ভালোবাসা ও সহনশীলতার মাধ্যমে প্রমাণ করা হবে যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) একটি আদর্শিক রাজনৈতিক দল।
অপু আরও বলেন, আমরা প্রমাণ করব বিএনপির কাছেই মানুষ নিরাপদ। আর আগামী নির্বাচনে তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে, ইনশাআল্লাহ। আর শরীয়তপুরের তিনটি আসন আমরা ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করবো, ইনশাআল্লাহ। আমরা সবাই মিলে শরীয়তপুরকে বাংলাদেশের মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।
এ সময় শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনের প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলামকে পরিচয় করিয়ে দেন নুরুদ্দিন অপু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি এ কে এম নাসির উদ্দীন কালু, সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান বাচ্চু সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মাহবুব আলম তালুকদার প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু, কৃষক দলের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব.) এস এম ফয়সাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগর, মহিলা দলের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাথী হিরু, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিতুল গণি মিন্টু সরদার প্রমুখ।
শেয়ার করুন :










