এবার, সেই পঙ্গু আশাবুদ্দিনকে স্থায়ীভাবে দোকান দিয়ে পাশে দাঁড়ালো আমরা সামাজিক সংগঠন দুর্বার।শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ দেওড়া গ্রামে আশাবুদ্দিনের বাড়ির পাশে রাস্তা সংলগ্ন দুর্বার স্বাবলম্বী প্রজেক্ট-০১-এর আওতায় দোকান ঘরটি রিপেয়ারিং ও দোকানের মালামাল তুলে দিয়ে আশাবুদ্দিনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
পাশাপাশি আশাবুদ্দিন ও তার পরিবারকে সবরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।মহতী এ উদ্যোগকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন জানিয়েছে আশাবুদ্দিন ও তার পরিবার। এর আগে দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, জাতীয় গণমাধ্যমে আশাবুদ্দিনের জীবনযাত্রা নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হলে বিভিন্ন মহলের নজরে আসে সংবাদটি।
উল্লেখ্য, ৩০ বছর বয়সী টকবকে যুবক আশাবুদ্দিন সুস্থ থাকাকালীন করতেন গ্রিল মিস্ত্রীর কাজ। তার উপার্জনের টাকায় চলত পুরো পরিবার। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সুস্থ স্বাভাবিক আশাবুদ্দিনের আজ কোমরের মেরুদণ্ড ও দুইটি পা পঙ্গু হয়ে গেছে। গত সাত বছর ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী।

প্রতিনিয়তই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। সামান্য ভিটেমাটি ছাড়া যেটুকু জমি ছিল, সবকিছু বিক্রি করে এতদিন চিকিৎসার খরচ চালিয়েছে পরিবারটি।জানা গেছে, বর্তমানে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আশাবুদ্দিনের জীবনে এমন দুর্ঘটনা নেমে আসায় চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে পরিবারটি।
শেয়ার করুন :










