আবির্ভাবে তাঁকে বলা হচ্ছিল ‘নতুন রোনালদো’। তাঁর জন্য আতলেতিকো মাদ্রিদ খরচ করেছিল ১২ কোটি ৬০ লাখ ইউরো। এখনো দলবদলে চতুর্থ সর্বোচ্চ দামি ফুটবলারের স্থানটি তাঁর দখলে। কিন্তু যে সম্ভাবনার কুঁড়ি হয়ে জোয়াও ফেলিক্সের আগমন ঘটেছিল, তা আর ফুল হয়ে ফুটল না।
নতুন রোনালদো হওয়া দূরে থাক, পায়ের নিচে যেন মাটিই খুঁজে পেলেন না। অথচ আতলেতিকো মাদ্রিদ, চেলসি, বার্সেলোনা ও এসি মিলানের মতো ক্লাবের হয়ে নিজেকে চেনানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ফেলিক্স। কিন্তু কোথাও সেভাবে ডানা মেলতে পারলেন না।
ইউরোপিয়ান পরাশক্তিগুলোয় ব্যর্থতার গল্প লেখা ফেলিক্স মাত্র ২৫ বছর বয়সে ছেড়ে যাচ্ছেন ইউরোপ। ফেলিক্সের নতুন ঠিকানা জাতীয় দল সতীর্থ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসর। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও ফেলিক্সের আল নাসরে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে একাধিক ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যম।
জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি ইউরোর চুক্তিতে একমত হয়েছে উভয় পক্ষ। সঙ্গে বড় অঙ্কের সেল-অন ক্লজ এবং অ্যাড-অনসও অন্তর্ভুক্ত আছে। শিগগিরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ফেলিক্স সৌদি আরবে উড়াল দেবেন বলেও জানা গেছে।
বেনফিকার হয়ে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করা ফেলিক্স রেকর্ড গড়া ট্রান্সফারে আতলেতিকোতে যোগ দেন ২০১৯ সালে। আতলেতিকোতে সম্ভাবনা জাগিয়েও বড় কিছু করতে পারেননি তিনি। এর মধ্যে বার্সেলোনা ও চেলসিতে ধারেও খেলেছেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
পরে ২০২৪ সালে তাঁকে পাকাপাকিভাবে কিনে নেয় চেলসি। কিন্তু ইংলিশ ক্লাবটিতেও থিতু হতে পারেননি তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ধারে যোগ দেন এসি মিলানে। মিলানের হয়ে সব মিলিয়ে ২১ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ৩ গোল। আর এমন ব্যর্থতার কারণে এবার ইউরোপই ছাড়তে হচ্ছে তাঁকে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী মৌসুমে ফেলিক্সকে দেখা যাবে সৌদি প্রো লিগে।
সবাই যখন ক্যারিয়ারের শেষ দিকে সৌদি আরবে ঠিকানা খুঁজে নিচ্ছেন, সেখানে মাত্র ২৫ বছর বয়সে ফেলিক্সকে এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে তাঁর সুযোগ আছে রোনালদোর ছোঁয়ায় নিজেকে খুঁজে পেয়ে আবার ইউরোপে ফেরার। সেই লক্ষ্যে ফেলিক্স শেষ পর্যন্ত সফল হবেন কি না, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
শেয়ার করুন :