প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘দেশে এখন মব ভায়োলেন্স নেই। আর বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই মব ভায়োলেন্স ছিল। আমাদের সময়ও কিছু মব ভায়োলেন্স হয়েছে, এটা আমরা অস্বীকার করছি না। যারা মব বায়োলেন্স নিয়ে কথা বলেন তাদের ভেতরে দুর্বলতা আছে।
তারা স্বৈরাচারের দোসর।’শুক্রবার নেত্রকোনার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।সভায় জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।শফিকুল আলম বলেন, এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। ফেব্র“য়ারিতে নির্বাচন ঠেকানোর কারও সাধ্য নেই। সারাদেশে এখন নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে।
রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন, নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন- তারা পতিত স্বৈরাচারের দোসর।‘৯ মাসে ৮৩ কোটি টাকা খরচ করে আলী রিয়াজ পালিয়ে গেছেন বলে এক ব্যক্তি বিভ্রান্তি ছড়াছেন। কিন্তু এই টাকার হিসাব তিনি কোথায় পেলেন আমার জানা নাই। ডাহা মিথ্যা বললে অনেকের জনপ্রিয়তা বাড়ে। তাই জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য অনেকেই মিথ্যাচার করে থাকেন। বিদেশে প্রচলন আছে টেলিভিশন টকশোতে যাকে আনা হবে, তিনি অত্যন্ত সত্যবাদী এবং তার গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।

কিন্তু আমাদের দেশে এর বিপরীত। একটা লোক যদি ডাহা মিথ্যা কথা বলে, তাকে আপনি টকশোতে আনছেন। কারণ তাকে আনলে আপনার টকশোটা গরম হবে। টিভির জনপ্রিয়তা বাড়বে। তাহলে কি হলো- আপনি তাকে দিয়ে বলা মিথ্যা কথাটা জনগণকে দিচ্ছেন। আমরা মাইলস্টোন নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, সেন্টমার্টিন নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, উপদেষ্টাদের নাগরিকত্ব নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, মিনিস্ট্রি নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি, সেনাবাহিনী নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে গেছে। সংস্কার কমিশনের কাজও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কী পরিমাণ সংস্কার হয়েছে তার স্পষ্ট দলিল থাকবে। আর গণভোটের বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে।’
শেয়ার করুন :










